ভরা মৌসুমেও যেন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে দেখা মিলচে না রুপালি ইলিশের। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়ে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। মৎস্য কেন্দ্রের পরিচালক বলছেন-মাত্রাতিরিক্ত হারে ইলিশের পরিমাণ নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশের নিচে গত চার বছরে। আড়ৎদার-পাইকাররাও বলছে সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বেহালদশা মৎস্য ব্যবসায়ীদের হয়েছে।ইলিশসম্পদ রক্ষাই বরগুনার ৩টি নদী ও মোহনা ইলিশের অভায়াশ্রম ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। পাইকার-আড়ৎদার আসতো বিভিন্ন জেলা থেকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মৎস্য ব্যবসায়ীদের কেনাবেচায় মুখরিত থাকতো, পা ফেলার জায়গাও থাকতো না। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে পাল্টে গেছে এ মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের চিত্র। এখন আর ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন না জেলেরা। কিছু জেলে কিছু সংখ্যক ইলিশ নিয়ে আসলেও বেশিরভাগ ট্রলারই ইলিশশূণ্য।ভরা মৌসুমে খালি হাতে একটি করে ট্রলার আসছে আর হতাশায় মাথায় হাত পরছে
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়ৎদার ও পাইকারদের মাঝে ।বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরী বলেন, সরকারি গবেষণায় ইলিশ সম্পদের বৃদ্ধি দেখালেও বাস্তবে ইলিশশূণ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর। ট্রলারে ১৮ থেকে ২০ জন জেলে থাকেতাদের সাগরে যেতে অন্তত দেড় লাক টাকা ব্যয় হয়। সেই টাকাও উঠছে না আবার। একটু লাভের আশায় বার বার সাগরে যাচ্ছেন জেলেরা। প্রতিবারই লোকসান হয়। এদিকে ট্রলার মালিকরা এখন জেলেদের বেতনও দিতে পারছেন না।বেসরকারি হিসেবে বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাছ ধরার পেশায় নিয়োজিত। তাদের মধ্যে শুধু ইলিশ মাছ শিকার করে ৭০ হাজার জেলে।
Leave a Reply