সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিত্রনায়িকা হতে চেয়েছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তবে বাবার অমতের কারণে তার চিত্রনায়িকা হওয়ার সাধ পূরণ হয়নি বলেও তথ্য দিয়েছেন তিনি।গত রোববার দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। এদিন তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ডিজিটাল নিউজ রুম ও স্টুডিও উদ্বোধন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া জায়গা পরিদর্শন করেন।
জিয়াউর রহমান খুন না হলে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না এমন মন্তব্যের পর প্রসঙ্গক্রমে খালেদার চিত্রনায়িকা হতে চাওয়ার বিষয়টি টানেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন,বেগম জিয়ার তো চিত্রনায়িকা হওয়ার কথা ছিল। দিনাজপুর থেকে বেগম জিয়া এফডিসিতে আসছে। তার বাবা আবার তারে নিয়ে গেছে। তাকে নায়িকা হতে দেয়নি। এ বেগম জিয়া হইছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীবেগম জিয়া নিজেই চেয়েছেন তার স্বামী মারা যাক— এমন মন্তব্যও করেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, জিয়া হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বেগম জিয়ার স্বাধ পূরণ হতো না। বেগম জিয়া কি কখনো তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছে? তার পুত্র লন্ডনে বসে… সে কি বিচার চায়? উল্টো বলতে চায় বাংলাদেশ নাকি দখল করব। খুনি জিয়ার পুত্র কয় বাংলাদেশ নাকি সে দখল করব, বাংলাদেশ নামে নাকি কোনো রাষ্ট্র, জাতিই নাই! এ বাংলার মাটির সন্তান না জিয়া পরিবার… পাকিস্তানের। আমরা তাদের চিনি। এদের দালালি যারা করতেছেন ভালো হয়ে যান, সোজা হয়ে যান। বেগম জিয়া, তারেক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এ দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। যারা ওই তালে আছেন তাল ছাইড়া দেন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন -খুনের ইতিহাস যারা তৈরি করেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সেসব খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে। যারা ইনডেমিনিটি জারি করেছে সেই খুনি মোস্তাক, জিয়াউর রহমান তাদের বিচার বাংলার মাটিতে এখনও পর্যন্ত হয়নি। আমার দায়িত্ব একটাই- যারা খুনি- বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করেছে, এ জিয়া পরিবারের বিচার বাংলার মাটিতে করতেই হবে- মরণোত্তর বিচার। আর যারা জীবিত এবং দেশ ধ্বংস করেছিল ও এখনও চায় সেই বেগম জিয়া, কুলাঙ্গার তারেক- এদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হতেই হবে। আমি ডাক্তার মুরাদের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যার সন্তানতুল্য… জীবন দিয়ে হলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তাদের মুখোশ উম্মোচন ও বিচার করতেই হবে।এ সময় চেয়ারে বসে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যেন এমন কথা না বলি যাতে প্রধানমন্ত্রী বিব্রত হয়। যার যার চেয়ারে বসে আমরা যেন দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি। যার যার দায়িত্ব তাকে তাকে পালন করতে হবে। আমি যেটা বুঝি সেটা করব, যেটা বুঝি না সেটা করব না। যেটা পারি না সেটা করার চেষ্টা যেন আমি না করি। আমি যেখানে বসে আছি সে চেয়ারের নাম কী সেটা জেনে বুঝে যেন দায়িত্ব পালন করি। অযথা বেশি কথা যেন কেউ না বলি কাজ যেন একটু বেশি করি
Leave a Reply