১২ মে চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রসেজ মিলনায়তনে হয়ে গেল আবদুল গফুর হালী রচিত ও পংকজ চৌধুরী রনি পরিচালিত ‘গুলবাহার’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো। কানায় কানায় পূর্ণ এই প্রদর্শনী শেষে সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন উপস্থিত দর্শকেরা।‘গুলবাহার’ সিনেমার শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাজালিয়ায়, শঙ্খ নদ ও আশপাশের লোকালয়ে। সিনেমার গল্প মূলত নদী-তীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনচিত্র নিয়ে রচিত। অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, সত্যজিৎ ঘোষ, শেখ দীনা, আকবর রেজা, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল, উমেসিং মারমা। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সন্দীপন, নাবিলা, মহসিন ও নিপা। সংগীত পরিচালনায় কনক রাজভর।চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত নাটকের অন্যতম পথিকৃৎ আবদুল গফুর হালী ১৯৭৪ সালে রচনা করেন গীতিনাট্য ‘গুলবাহার’। ১৯৭৬ সালের ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর, তিন দিনব্যাপী নাটকটি মঞ্চস্থ হয় চট্টগ্রাম মুসলিম হলে। অভিনয় করেছিলেন অঞ্জু ঘোষ ও পংকজ বৈদ্য সুজন। প্রায় দুই ডজন গান ছিল এতে। কণ্ঠ দিয়েছিলেন শিল্পী শেফালী ঘোষ ও শ্যামুসন্দর বৈষষ্ণবসহ চট্টগ্রামের খ্যাতিমান শিল্পীরা।আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দার জানান, ২০১৬ সালে গফুর হালীর প্রয়াণের পর আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের প্রযোজনায় ও পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় আঞ্চলিক নাটক ‘গুলবাহার’কে চলচ্চিত্রে রূপদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন।চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের রানি হিসেবে খ্যাত শিল্পী কল্যাণী ঘোষ সিনেমাটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘গফুরদার গুলবাহার ছিলাম আমি। আমার সামনেই এই নাটক লেখা হয়েছে। এই নাটকের প্রতিটি কথা, গানের সঙ্গে রয়েছে আমার স্মৃতি। নাটকটি নিয়ে চলচ্চিত্র হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। গুলবাহার মূলত একটি গীতিনাট্য, সংলাপের চেয়ে গানই মুখ্য। তাই এই নাটকের প্রাণ “তুই যাইবা সোনাদিয়া বন্ধু” গানটি সিনেমায় শুনতে না পেয়ে কিছুটা হতাশ হয়েছি।’চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক সুবীর মাহজন বলেন, ‘আমি মনে করি, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্য সাহা-সঞ্জিত আচার্য্য জুটির “সাল্ফক্সানওয়ালা”র পর গফুর হালীর “গুলবাহার” হবে নতুন মাইলফলক।’ amazing)