ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কের জীবন বাঁচতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সকাল থেকে স্পিডবোট, কাঠের ট্রলারসহ বিভিন্নভাবে অনেকেই সপরিবারে সাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ-কক্সবাজারের নিরাপদ স্থানে পাড়ি দিচ্ছেন।
এদিকে দ্বীপে বসবাসকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষের জন্য একটি মাত্র ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থাকায় ঝড়ের মূল আঘাতের সময় সেখানে কতটুকু মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে তা নিয়েও শঙ্কিত এলাকাবাসী। তবে সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত অনেক বড় বড় কয়েকটি দালানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে হোটেল মালিকপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন। যেখানে এখন অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মোখার আঘাত থেকে বাঁচতে সকাল থেকে পরিষদের পক্ষ থেকে পুরো দ্বীপজুড়ে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ জানান, এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিডরে হঠাৎ সেন্টমার্টিনের চারদিক থেকে বিশালভাবে পানি ফুলে উঠে মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়। সেই আতঙ্কে এবার ঘূর্ণিঝড় মোখাতেও এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে অনেক নারী-পুরুষ সেন্টমার্টিন ত্যাগ করছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের জন্য ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে রেখেছি। যাতে আঘাত শুরু হলে দ্বীপের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারে।
amazing)