ফুটেছে দুর্লভ শ্বেতচাঁপা

আলেক্সান্ডার ক্যাসেল ময়মনসিংহের জমিদারদের বাগানবাড়ি। ১৮৭৯ সালে মহারাজ সূর্যকান্ত ৯ একর জমির ওপর এই বাগানবাড়ি নির্মাণ করেন। এলাকাবাসীর কাছে ‘লোহার কুঠি’ নামে পরিচিত এবং রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত এই আলেক্সান্ডার ক্যাসেলের দক্ষিণ দিকে দুই পাশে দুটি শ্বেতচাঁপার গাছ আছে। এগুলো জমিদারি আমলেই রোপণ করা হয়েছিল। সকাল-সন্ধ্যায় এই ভবনের পাশ দিয়ে হাঁটতে গেলে চমৎকার সৌরভ নাকে লাগে। এ ছাড়া শশীলজের সামনের দুই দিকেও দুটি শ্বেতচাঁপাগাছ আছে। ঢাকায় ধানমন্ডি লেকের পাড়ে একটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভের পাশে একটি, আর্মি স্টেডিয়ামের ডান পাশের দেয়াল লাগোয়া মাঠের ধারে কয়েকটি শ্বেতচাঁপাগাছ রয়েছে।শ্বেতচাঁপা তুলনামূলক দুর্লভ ফুল। বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ফুল ফোটে। এটি শাখা-প্রশাখাময় চিরসবুজ বৃক্ষ। সাধারণত মাঝারি আকৃতির হলেও ময়মনসিংহের শ্বেতচাঁপাগাছটি কালের আবর্তে উঁচু বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এর কাণ্ড সরল ও উন্নত। ছোট ডাল নরম ও লোম দিয়ে ঢাকা। পাতা ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা, প্রায় মসৃণ, বর্শাফলক আকৃতির। কচি কাণ্ডের ডগায় ফুল ফোটে। সাদা পাপড়ির ফুল সুগন্ধিযুক্ত। পাপড়ির সংখ্যা ১৫টি পর্যন্ত হতে পারে। ফুল সুরভিত হলেও এর রস তেতো। তাই এর প্রতি ভ্রমর আকৃষ্ট হয় না।বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশ চাঁপার জন্মস্থান। অফিস ও বাড়ির আঙিনা এবং বাগানে চাঁপাগাছ লাগানো যায়। বলে রাখা ভালো, বাংলায় অনেক ফুলের নামের সঙ্গে চাঁপা যুক্ত হলেও সব ফুল একই পরিবারের নয়। শ্বেতচাঁপার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ম্যাগনোলিয়া আলবা’ এবং এটি ম্যাগনোলিয়েসি গোত্রের উদ্ভিদ। ইংরেজিতে হোয়াইট চেম্পেকা, হোয়াইট চম্পক ইত্যাদি নামে পরিচিত। লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ amazing)

About admin

Check Also

শিল্পকলায় ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজন

প্রতিশ্রুতিশীল ভাওয়াইয়া, বাউল, প্রবীণ এবং শিশু-কিশোর শিল্পীদের বিকাশ ও প্রকাশের লক্ষ্যে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *