দক্ষিণবঙ্গের বর্ষীয়ান আলেম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ঐহিত্যবাহী পুরুরা আল জামিয়াতুল আরাবিয়া নিজামুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জহুরুল হকের জানাজা ও দাফনসম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মাদরাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বরেণ্য এই আলেমের জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণির লাখো মুসল্লির ঢল নামে। মাদরাসা মাঠ ছাড়াও আশাপাশে পুরো এলাকায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নেন মানুষ। পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জানাজায় ইমামতি করেন ফরিদপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা আকরাম আলী। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এতে অংশ নেন। অর্ধশতাব্দী কালের বেশি সময় ধরে ইসলামের প্রসারে জীবন উৎসর্গ করে অবশেষে বার্ধক্যজনিত কারণে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ মাদরাসায় চিরবিদায় নেন শতবর্ষী এই আলেম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৬ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, প্রবীণ এই আলেম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরীর খলিফা ছিলেন। তিনি ফরিদপুর জেলা হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় ১০ বছর। তিনি স্বাধীনতার পর ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐহিত্যবাহী পুরুরা আল জামিয়াতুল আরাবিয়া নিজামুল উলুম মাদরাসা। ওই মাদরাসায় মুহতামিম হিসেবে প্রায় ৭০ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কাছে পড়াশোনা করে হাজারও ছাত্র আলেম হয়েছেন। যে কারণে তার মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি আলেম সমাজেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে মাওলানা জহুরুল হকের ইন্তেকালের পর তার পরিচালনাধীন জামিয়া নিযামিয়া আরাবিয়ার (পুরুরা মাদ্রাসা) নতুন মুহতামিম নির্বাচন করা হয়েছে। জেলার শীর্ষ আলেমদের সিদ্ধান্তক্রমে এই দায়িত্ব পেয়েছেন তার বড় ছেলে মাওলানা নিজামুদ্দিন।
amazing)