সহপাঠীর প্রেমে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর

ঢাকার ধামরাইয়ে তানিয়া আক্তার নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমিক রিদয়ের অশালীন আচরণ ও মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজ বেগমের মিথ্যা অপবাদের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ আত্মহত্যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘাতক প্রেমিকের বিশ্বাসঘাতকতা ও মহিলা মেম্বারের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজই কেড়ে নিয়েছে তানিয়ার জীবন। এসবের নানা দিক নিয়ে আলোচনা চলছে ওই এলাকায়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত স্কুলছাত্রী তানিয়া আক্তার (১৫) চৌহাট ইউনিয়নের দ্বিমুখা কানাইনগর গ্রামের সোবহানের মেয়ে। তিনি আগতাড়াইল আফসার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তানিয়া আক্তার মেধাবী ছাত্রী ছিল বলে জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান।

অভিযুক্ত প্রেমিক রিদয় হোসেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা কান্দাপাড়া গ্রামের আসলামের ছেলে। রিদয় একই স্কুলের তারই সহপাঠী।

মৃত তানিয়ার মা বিউটি বেগম বলেন, সকালে আমার মেয়ে ঘুম থেকে ঘর ঝাড়ু ও খাওয়া দাওয়া করে হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয়। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে লাশ মাটিতে নামান। আমার মেয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয় মমতাজ বেগম মেম্বার। সেই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে জানতে মহিলা মেম্বার ও রিদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে তালা দিয়ে তারা আত্মগোপন করেছেন বলে জানান মেম্বারের প্রতিবেশীরা।

ধামরাই থানাধীন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ আলামিন হাওলাদার বলেন, নিহত স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Great)

About admin

Check Also

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি জ্যোৎস্না

ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ২৮৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *