শেষ হচ্ছে মিঠাই-এর পথচলা

৮০০ পর্ব পেরিয়ে এসেছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল সিরিয়ালটির পথচলা। এই দীর্ঘ যাত্রায় সিড-মিঠাইয়ের প্রেমকাহিনি বেশির ভাগ সময়ই টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থানটি নিজের দখলে রেখেছিল। টানা ৩৯ সপ্তাহ টিআরপির শীর্ষে থাকার কৃতিত্ব আছে ‘মিঠাই’-এর। তবে কিছু শুরু হলে তো একদিন শেষ হতেই হয়। তাই মিঠাইয়েরও বিদায়ের দিন ঘনিয়ে এসেছে।মিঠাই সিরিয়ালের মোদক পরিবারের দৃশ্যগুলো যে বাড়িতে শুটিং হতো, সম্প্রতি সেই সেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে নতুন সেট বানিয়ে নতুন ধারাবাহিক ‘ফুলকি’র শুটিং হবে। এটিও নারীপ্রধান গল্পের ধারাবাহিক। এক নারী বক্সারের জীবন-সংগ্রাম নিয়ে লেখা হয়েছে ফুলকির গল্প। আপাতত ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওর অন্য একটি ফ্লোরে হচ্ছে মিঠাইয়ের শুটিং। ধারাবাহিকের গল্পেও শেষের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গল্পে দেখানো হচ্ছে, ভুলে যাওয়া সব স্মৃতি মনে পড়ে গেছে মিঠাইয়ের। উচ্ছেবাবুকে জড়িয়ে ধরার সেই প্রতীক্ষিত দৃশ্যও দেখানো হয়েছে সম্প্রতি। ধারণা করা হচ্ছে, সপ্তাহ দুয়েকের ভেতরই শেষ হয়ে যাবে মিঠাই-এর প্রচার।এত দিনের পথচলার সমাপ্তি ঘটছে, তাই মন খারাপ মিঠাই চরিত্রের অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডুর। তিনি বলেন, ‘আরও অনেক দিন আগে মিঠাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমাদের সময়সীমা অনেকটা বেড়েছে। মনে মনে তাই বিদায়ের একটা প্রস্তুতি ছিলই। এত দিন  ধরে এ চরিত্রের সঙ্গে, মানুষগুলোর সঙ্গে আছি। ফলে বেশ মন খারাপ লাগছে। তবে সব কিছুরই তো শেষ আছে। এটা তো মেনে নিতেই হবে।’‘মিঠাই’ এমন এক মেয়ের গল্প, যার পরিবার ঐতিহ্য মেনে অনেক বছর ধরে মিষ্টি তৈরি করে। মিষ্টি তৈরিতে সিদ্ধহস্ত মিঠাই নিজেও। সারাক্ষণ দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখে চারপাশ। মধ্যবিত্ত ঘরের মিঠাইয়ের বিয়ে হয় বড়লোক ঘরের ছেলে সিদ্ধার্থ মোদকের (উচ্ছেবাবু) সঙ্গে। এরপর নানা সংকট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ালটির গল্প। এ সিরিয়ালে মিঠাই চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু, আর সিদ্ধার্থ চরিত্রে আছেন আদৃত। ‘মিঠাই’ দেখা যাচ্ছে জি বাংলায়, প্রতিদিন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। Great)

About admin

Check Also

আটকে গেছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার অর্থ আটকা পড়েছে। বাংলাদেশি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *