চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাকিব খানকে আগামী ১৫ই মে জবাব দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক সমন জারির এই নির্দেশ দেন। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের সেরেস্তাদার শফিকুল ইসলাম সমন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক আগামী ১৫ মের মধ্যে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি দাখিলের নির্দেশ দেন ওই দিন। বাদী গত সোমবার যথাযথ কোর্ট ফি দাখিল করেন। পরে আদালত সমন জারির নির্দেশ দেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রহমত উল্লাহ একজন প্রযোজক হওয়া সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাঁর নামে মিথ্যা, মানহানিকর এবং আক্রমণাত্মক মন্তব্য বা বিবৃতি দিয়েছেন শাকিব খান। গত ১৯ মার্চ বিকেলে ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকে শাকিব বলেছেন, রহমত উল্লাহর মতো একজন ভুয়া, প্রযোজক নামধারী, বাটপার, প্রতারক সবার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং এফডিসিতে গিয়ে শিল্পী সমিতি, পরিচালক প্রযোজক সমিতিতে ভুয়া প্রযোজকের বিচার চেয়েছেন। এ ছাড়া গোয়েন্দা শাখাকে বলেছেন যে, রহমত উল্লাহ প্রযোজক না হয়ে আজেবাজে প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করেছেন যা অসত্য।মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, শাকিব খান রহমত উল্লাহকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন। এতে তাঁর সুনাম নষ্ট হয়েছে। মানহানি হয়েছে। প্রযোজকের স্ট্যাটাস অনুযায়ী এই মানহানির জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়যোগ্য।এর আগে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ।গত ১৩ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানির একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন রহমত উল্লাহ। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে শাকিব খান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে। amazing)