চাঁদাবাজির মামলার পর সাভার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি বহিষ্কার

সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম দেওয়ানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। সাভারে একটি কারখানায় চাঁদা দাবির অভিযোগ ও দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে হামলার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে পরদিন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত একটি সাংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।মাসুম দেওয়ান (২৫) সাভারের নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে। এর আগে ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর মাসুম দেওয়ানকে সভাপতি করে নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছিল ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুম দেওয়ানকে (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাভার পৌর শাখা) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। এবং কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।’বহিষ্কারের একদিন আগে রোববার (৭ মে) সাভার মডেল থানায় মাসুম দেওয়ানকে প্রধান আসামিকে করে চাঁদা দাবি, মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন সাভারের আনন্দপুর এলাকার ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাঁদার ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় কারখানার মালিকসহ প্রায় ৫ জনকে বেধড়ক মারধর করে মারাত্মক আহত করেন মাসুম দেওয়ান ও তাঁর সহযোগীরা। পরে কারখানার ক্যাশ বক্স থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নেন তাঁরা। এ ঘটনায় মাসুম দেওয়ানসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আজ ছাত্রলীগের সাভার পৌরসভা শাখা থেকে তাঁকে অস্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, ‘চাঁদাবাজির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি প্রধান আসামিসহ সবাইকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য।’ awesome)

About admin

Check Also

আটকে গেছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার অর্থ আটকা পড়েছে। বাংলাদেশি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *