যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা, মাস্টার মাইন্ড সোহেলসহ গ্রেফতার ৪

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন কিলিং মিশনের মাস্টার মাইন্ড সোহেল সিকদারসহ মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সাত দিন পর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে র‌্যাব এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চার আসামিকে গ্রেফতার করে।

রোববার দুপুরে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কার‌্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লে. কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সন্ত্রাসীদের গডফাদার শাহীনুল আলম ওরফে সোহেল সিকদার, একই উপজেলার জিয়ারকান্দির এলাকার খুরশিদ মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল, দাউদকান্দি উপজেলা গোপচর এলাকার মৃত বজলুল রহমানের ছেলে শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলম।

লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ বলেন, গত ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে বোরকা পড়ে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেনকে। গুরুতর অবস্থায় জামালকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানেই জামাল মারা যান।

তিনি আরও বলেন, শনিবার গভীর রাতে র‌্যাবের একাধিক টিম চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ, রাজধানী ঢাকার রায়েরবাগ, কালশী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী সোহেল সিকদারসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় হত্যাকাণ্ডের পরপরই মামলার অপর আসামি সুজন ও বাদল দুবাইতে, শাকিল ভারতে, অলি হাসান সৌদি আরবে, কালা মনির আত্মগোপনে চলে যান। তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হবে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। সুমন (৪০) এ হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক। এ সময় মাইক্রোবাসটি এবং বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসচালক সুমন হোসেন জেলার তিতাস উপজেলার লালপুর এলাকার শামসুল হকের ছেলে। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা।

উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল রাতে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে বোরকাপরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন। তিনি তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকার নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গৌরীপুর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জামাল। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর জামাল হোসেনের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

awesome)

About admin

Check Also

যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলা, যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট

সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক আমিনুল ইসলামকে মারধরের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *