কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামে মাহিন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে বেদম পিটুনি দেন প্রেমিকার বাবা মোজাম্মেল ও চাচা জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাহিন আজ রোববার হাসপাতালে মারা যান। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে যুবকের বাবা হিরন মিয়াও (৫০) আজ মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হামলার ঘটনায় নিহত ছেলেটি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে। দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।নিহত মাহিনের ছোট ভাই আলম জানান, তার বড় ভাই মাহিনের সঙ্গে প্রতিবেশী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ের এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহিনকে মেয়ের বাবা মোজাম্মেল মিয়া ও চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মাহিনকে বেদম পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাহিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ রোববার সকালে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে মাহিনকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায় মাহিন। পরে আবারও তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা হিরন মিয়া বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পরেন। বাড়ির লোকজন হিরন মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পর প্রেমিকার বাবা ও চাচাসহ স্বজনেরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। মাহিনের প্রেমিকা জানায়, ‘তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমার বাবা ও চাচা মাহিনকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি হত্যার বিচার চাই।’ স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই পরিবারটি গ্রামের অত্যন্ত নিরীহ পরিবার। নিহত ছেলেটি টাইলসের কাজের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে হোটেলের ব্যবসা করত। বৃহস্পতিবার রাতে ডেকে নিয়ে ছেলেটিকে পিটিয়ে আহত করে মেয়েটির বাবা মোজাম্মেল ও চাচা জাহাঙ্গীর। এর পর থেকে ছেলেটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সকালে মৃত্যুর খবর শুনে মারধরকারীরা বাড়িঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে।’ Great)