টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্মেলনের ৭ মাস পর বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি স্বাক্ষরিত ৭১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়েছেন।
গত ৩১ মার্চ ত্রি-বার্ষিক সম্মলনে মীর শরীফ মাহমুদকে সভাপতি ও ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাবেক মেয়র, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিগত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে অনেক বিতর্কিত ও জুনিয়র নেতাকে সম্পাদকীয় পদে রাখা হয়েছে। যেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৯ জনকে সহসভাপতি রাখা হয়েছে। সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়েছে সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম মনিরকে। অন্য সহসভাপতিরা হলেন: আব্বাস-বিন হাকিম, আবুল কালাম আজাদ লিটন, মোহাম্মদ আলী, সাইদুর রহমান খান বাবুল, জাকির হোসেন, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজীব, মঞ্জুরুল কাদের বাবুল, তিনজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন আবু রায়হান সিদ্দিকী, সিরাজুল ইসলাম ও মো. মাজহারুল ইসলাম শিপলু।
তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন- আমিনুর রহমান আকন্দ, শামীম আল মামুন, সোহেল রানা। দপ্তর সম্পাদক জহিরুল হক, আইন সম্পাদক শামীম কবির, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বাবু নন্দ দুলাল গোস্বামী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক আব্দুল লতিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজু আহমেদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক এ.এম কদ্দুছ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শহিদুর রহমান লাবু, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার শিমুল, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সিরাজ সাজু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহবুব হোসেন ফিরুজ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক আব্দুর রউফ মিয়া, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক মীর চঞ্চল মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক খন্দকার আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক মাসুদ রানা মাসুম, সহ-দপ্তর আলম সরোয়ার টিপু, সহ-প্রচার সম্পাদক আওলাদ হোসেন।
কার্যকরী সদস্যরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, মীর দৌলত হোসেন বিদ্যুত, মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, খান আহমেদ শুভ এমপি, মেজর আব্দুল হাফিজ, মোবারক হোসেন সিদ্দিকী, নূরুল ইসলাম নূরু, বিশ্বাস দুর্লভ চন্দ্র, মাহাবুব আলম মল্লিক হুরমহল, শহিদুর রহমান শহীদ, আবুল কাশেম সিদ্দিকী খোকন, ছানোয়ার হোসেন, ঝর্ণা হোসেন, আকরাম হোসেন রতন, মান্নান সিকদার, বিভাষ সরকার নূপুর, মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, আতিকুর রহমান মিল্টন, শাহিন আলম, সিরাজ উদ্দিন, মনিরুজ্জামান ভূইয়া শরীফ, বাবু সুনিল সারথী বর্মণ, মোতালেব মিয়া, উবাইদুর রহমান রহমান মতি, অজিজা সুলতানা, আবুল হোসেন, মমতাজ বেগম, আব্দুর রশিদ, আলতাফ হোসেন, জি.এস সেলিম সিকদার, মীর মঈন হোসেন রাজীব, ইমান আলী, খোরশেদ আলম মাস্টার, এবং ইজ্জত আলী জনি।
এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাবেক মেয়র, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিগত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে অনেক বিতর্কিত ও জুনিয়র নেতাকে সম্পাদকীয়সহ কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাখা হয়েছে। যেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সালে জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনের নায়ক বিগত কমিটির সহসভাপতি মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মনিকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মির্জাপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বিগত উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ উদ্দিন আছু, করটিয়া সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক এজিএস ও বিগত উপজেলা কমিটির সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান তালুকদার কনক বাদ পড়েছেন। এছাড়া কমিটিতে স্থান পাননি ইবিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি। এ ছাড়া কমিটিতে অনেক বিতর্কিত ও জুনিয়র নেতাকে সম্পাদকীয় পদে রাখা হয়েছে। যেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিতর্কিতদের মধ্যে একজন সহ-দপ্তর পদে আলম সরোয়ার টিপুকে বাদ দিয়ে রবিউল আলম রবিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন মনি, রাফিউর রহমান ইউসূফজাই সানিসহ অন্যদের উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হবে বলে তিনি জানান।