জামালপুরের মেলান্দহে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার স্যানিটারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন বাঘার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকাল ৩টায় জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আলমগীর হোসেন পলিন ও তার পরিবার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম অভিযোগ করেন, তার পুত্র আলমগীর হোসেন পলিন মেলান্দহ খানপাড়ায় জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। ওই জমি মঙ্গলবার দুপুরে মেলান্দহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি দলিল করতে গেলে শাহজাদপুরের বাসিন্দ মৃত বাদশা বাঘার পুত্র শাহিন বাঘা ও আদিপৈত এলাকার মৃত নওশের আলীর পুত্র ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে শাহিন বাঘা এবং ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় পর বিকাল ৫টার দিকে শাহিন বাঘা ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মেলান্দহ বাজারে স্যানেটারি মালামালের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
হামলাকারীরা দোকানে থাকা ২০ লাখ টাকা মূল্যবান স্যানেটারি সামগ্রী লুটসহ অন্তত লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট করে। হামলার খবর পেয়ে আলমগীরসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে শাহিন বাঘা ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ মুক্তিযোদ্ধাসহ তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ঘটনার রাতেই মেলান্দহ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হুমকিদাতারা সরকার দলীয় হবার ফলে পরিবারের সদস্যরা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম জানান, বর্তমানে হামলাকারীদের ভয়ে পুরো পরিবারের চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম মিয়া, গিয়াস আহমেদ, সুরুজ্জামান বেপারিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন বাঘা বলেন, মেলান্দহে আমাদের বিরুদ্ধে কোথাও চাঁদাবাজির নজির নেই। ঘটনার দিন আলমগীর হোসেন আমার ওপর হঠাৎ করেই হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়াসহ রাতেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট বলেও দাবি করেন।